হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলাম এমন এক জীবনব্যবস্থা, যা মানুষের জন্য সহজতা ও কল্যাণের পথ দেখায়। নামাজ ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলেও, আল্লাহর রাসূল হজরত মুহাম্মদ (সা.) তার উম্মতের জন্য এতে কষ্টের কোনো অবকাশ রাখেননি।
সহীহ মুসলিমের “কিতাব সালাতিল মুসাফিরীন ও কাসরেহা” গ্রন্থের “দুই নামাজ একত্রে আদায় করার” অধ্যায়ে (হাদীস নং ৭০৫) এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়।
হাদীসটিতে আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন: নবী করিম (সা.) মদীনায় অবস্থানকালে কোনো ভয় বা ভ্রমণের পরিস্থিতি ছাড়াই যোহর ও আসর নামাজ একসাথে আদায় করেছিলেন।
অর্থাৎ, রাসূলুল্লাহ (সা.) না সফরে ছিলেন, না কোনো বিপদের আশঙ্কা ছিল। তিনি শুধু উম্মতের কষ্ট লাঘবের উদ্দেশ্যে এই সুবিধা দিয়েছিলেন।
ইবনে আব্বাস (রা.) আরও বলেন, নবী করিম (সা.) যোহর ও আসর, মাগরিব ও এশা নামাজ একত্রে পড়ার অনুমতি দিয়েছিলেন যেন তাঁর উম্মত কোনো রকম কষ্ট বা অসুবিধায় না পড়ে।
নবী করিম (সা.)-এর একটি মূলনীতি ছিল: আমি তোমাদের জন্য এমন কোনো বিধান নির্ধারণ করিনি যাতে তোমরা কষ্টে পড়ো।
এই হাদীস থেকে ইসলামী ফকিহগণ মত দেন যে, প্রয়োজনে—যেমন বৃষ্টি, অসুস্থতা, কর্মজীবনের বাধ্যবাধকতা বা ভ্রমণ-জনিত অসুবিধার সময়—যোহর ও আসর অথবা মাগরিব ও এশা নামাজ একত্রে আদায় করা বৈধ।
অতএব, ইসলামের এই দিকনির্দেশনা প্রমাণ করে যে ধর্ম মানুষকে কষ্টে ফেলতে নয়, বরং সহজতা ও দয়া প্রদানের জন্যই প্রণীত।
আপনার কমেন্ট